Table Of Contents
ঈমান হচ্ছে— কথা, কাজ ও বিশ্বাস
আহলুস সুন্নাহর সব আলেম ইজমা (ঐকমত্য) করেছেন যে, ঈমান হলো— কথা ও কাজ। অথবা মুখের কথা, অন্তরের বিশ্বাস ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের আমল।
শাফেয়ী রাহিমাহুল্লাহ বলেন: ‘সাহাবী, তাবেয়ী এবং তৎপরবর্তী যে সকল ব্যক্তিকে আমরা পেয়েছি তারা সকলে ইজমা (ঐকমত্য) করেছিলেন যে: ঈমান হচ্ছে— কথা, কাজ ও নিয়ত। তিনটির মাঝে কোনো একটি ছাড়া অন্যটি যথেষ্ট নয়।’[সমাপ্ত][লালাকাঈর উসূলু ই’তিক্বাদি আহলিস সুন্নাহ (৫/৯৫৬), বর্ণনা নং: ১৫৯৩; ইবনে তাইমিয়্যার মাজমুঊল ফাতাওয়া (৭/২০৯)]
বুখারী রাহিমাহুল্লাহ বলেন: ‘আমি এক হাজারের বেশি আলেমের কাছ থেকে লিখেছি। আমি শুধু তাদের থেকেই লিখেছি যারা বলেন: ঈমান হচ্ছে— কথা ও কাজের সমষ্টি। যারা বলে: ঈমান (শুধু) কথা, তাদের থেকে আমি লিখিনি।’[সমাপ্ত][লালাকাঈর ‘উসূলু ই’তিক্বাদি আহলিস সুন্নাহ (৫/৯৫৯), বর্ণনা নং: ১৫৯৭]
আবু উবাইদ আল-ক্বাসেম ইবনে সাল্লাম রাহিমাহুল্লাহ বলেন: ‘এখানে তাদের নাম উল্লেখ করছি যারা বলেন: ঈমান হচ্ছে— কথা ও কাজ; ঈমান বাড়ে ও কমে।’ এরপর তিনি একশ তেত্রিশ জন আলেমের নাম উল্লেখ করে বলেন: ‘এরা সবাই বলেন যে ঈমান হচ্ছে— কথা ও কাজ; ঈমান বাড়ে ও কমে। এটি আহলুস সুন্নাহর বক্তব্য এবং আমরা এটি অনুযায়ী আমল করি। আল্লাহর কাছে তাওফিক চাইছি।’ ইবনে বাত্তা তার ‘আল-ইবানা’ বইয়ে (২/৮১৪-৮২৬, বর্ণনা নং: ১১১৭) এবং শাইখুল ইসলাম ‘মাজমুউল ফাতাওয়া’ বইয়ে (৭/৩০৯) এটি উদ্ধৃত করেন।
শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়্যা রাহিমাহুল্লাহ বলেন: ‘ঈমান যে কথা ও কাজ, সে ব্যাপারে আহলুস সুন্নাহ ও আহলুল হাদীসের এই ঐকমত্য একাধিক ব্যক্তি বর্ণনা করেন।’[সমাপ্ত][মাজমুউল ফাতাওয়া (৭/৩৩০)]
ঈমান যে কথা ও কাজের সমষ্টি তার প্রমাণসমূহ
‘কথা’ ও ‘কাজ’ অংশদ্বয় ঈমানের অবিচ্ছেদ্য অংশ এই মর্মে ইজমার ভিত্তি হচ্ছে কুরআন-সুন্নাহর বহু দলিল। তফসিলিভাবে বললে ঈমানের অংশ চারটি:
১. মুখের কথা। মুখের সকল ইবাদতই ঈমানের অন্তর্ভুক্ত। আর ইসলামের কালিমা (বাণী): ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ’ ঈমানের স্তম্ভ। এই স্তম্ভ ছাড়া ঈমান সঠিক হবে না।
মুখের কথা যে ঈমানের অন্তর্ভুক্ত তার প্রমাণ হলো আল্লাহর বাণী:
قُولُوا آمَنَّا بِاللَّهِ وَمَا أُنْزِلَ إِلَيْنَا وَمَا أُنْزِلَ إِلَى إِبْرَاهِيمَ وَإِسْمَاعِيلَ وَإِسْحَاقَ وَيَعْقُوبَ وَالْأَسْبَاطِ وَمَا أُوتِيَ مُوسَى وَعِيسَى وَمَا أُوتِيَ النَّبِيُّونَ مِنْ رَبِّهِمْ لَا نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍ مِنْهُمْ وَنَحْنُ لَهُ مُسْلِمُونَ
“তোমরা বলো: আমরা ঈমান এনেছি আল্লাহর প্রতি এবং যা আমাদের কাছে নাযিল করা হয়েছে; যা ইব্রাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকূব ও তার বংশধরদের কাছে নাযিল করা হয়েছিল এবং যা মুসা, ঈসা ও অন্য নবীদেরকে তাদের প্রভুর পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছিল সে সবের প্রতি। আমরা এই নবীদের কারো মাঝে কোনো পার্থক্য করি না। আর আমরা তাঁর প্রতি মুসলিম (আত্মসমর্পণকারী)।”[সূরা বাকারা: ১৩৬]
আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বক্তব্য: “আমাকে হুকুম দেয়া হয়েছে ততক্ষণ পর্যন্ত মানুষের সঙ্গে লড়াই করতে যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা বলবে: ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ (কোনো উপাস্য সত্য নয়; আল্লাহ্ ছাড়া)। যে ব্যক্তি ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ (কোনো উপাস্য সত্য নয়; আল্লাহ্ ছাড়া) বলবে সে আমার হাত থেকে নিজের জীবন ও সম্পদ রক্ষা করে নিবে। তবে ইসলামের অধিকার ছাড়া। আর তাদের হিসাব নেওয়ার দায়িত্ব আল্লাহর উপর ন্যস্ত।”[হাদীসটি বুখারী (২৯৪৬) ও মুসলিম (২১) বর্ণনা করেন আবু হুরাইরার সূত্রে]
আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “ঈমানের শাখা সত্তরটিরও কিছু বেশী। অথবা ষাটটির কিছু বেশী। এর সর্বোচ্চ শাখা হচ্ছে— ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ (কোনো উপাস্য সত্য নয়; আল্লাহ্ ছাড়া) এই কথা বলা। আর এর সর্বনিম্ন শাখা হচ্ছে— রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু সরিয়ে ফেলা। আর লজ্জা ঈমানের একটি বিশেষ শাখা।”[হাদীসটি বুখারী (৯) ও মুসলিম (৩৫) বর্ণনা করেন; বর্ণনাটি তার]
২. অন্তরের কথা। এটি হচ্ছে অন্তরের দৃঢ় বিশ্বাস। অন্তরের কথা যে ঈমানের অন্তর্ভুক্ত, এর প্রমাণ হলো আল্লাহর বাণী:
أُولَئِكَ كَتَبَ فِي قُلُوبِهِمُ الْإِيمَانَ
“আল্লাহ তাদের অন্তরে ঈমান লিখে দিয়েছেন (সুপ্রতিষ্ঠিত করেছেন)।”[সূরা মুজাদালাহ: ২২]
আর তাঁর বাণী:
إِنَّمَا الْمُؤْمِنُونَ الَّذِينَ آمَنُوا بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ ثُمَّ لَمْ يَرْتَابُوا وَجَاهَدُوا بِأَمْوَالِهِمْ وَأَنْفُسِهِمْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ أُولَئِكَ هُمُ الصَّادِقُونَ
“আসলে মুমিন তারাই, যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি ঈমান এনেছে, অতঃপর (এ ব্যাপারে কোনো) সন্দেহ পোষণ করেনি। আর নিজেদের জীবন ও সম্পদ দিয়ে আল্লাহর পথে জিহাদ করে। তারাই হলো সত্যবাদী।”[সূরা হুজুরাত: ১৫]
এবং ঈমানের পরিচয় সম্পর্কে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী: “তুমি আল্লাহ, ফেরেশতারা, তাঁর কিতাবসমূহ, তাঁর রাসূলগণ, শেষ দিবস, ভালো-মন্দ তাকদীরের উপর ঈমান আনা।”[হাদীসটি মুসলিম (৮) বর্ণনা করেন। হাদীসের পাঠ তার। বর্ণনাকারী উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু। আর বুখারীতে (৫০) হাদীসটি আবু হুরাইরা থেকে বর্ণিত]
এছাড়া শাফায়াতের হাদীসে রয়েছে: “... আমি বলব: উম্মাতী, উম্মাতী! (আমার উম্মত, আমার উম্মত)। বলা হবে: আপনি যান। যে ব্যক্তির অন্তরে একটি সরিষার দানা পরিমাণ ঈমান অবশিষ্ট থাকবে তাকেও জাহান্নাম থেকে মুক্ত করুন। এরপর আমি যাব।”[হাদীসটি বুখারী (৭৫১০) ও মুসলিম (১৯৩) বর্ণনা করেন আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহুর সূত্রে]
৩. অন্তরের আমল। এটি হলো একনিষ্ঠতা, সমর্পণ, ভীতি, আশা ও ভালোবাসা। এটি ঈমানের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার দলীল হলো আল্লাহর বাণী:
إِنَّمَا الْمُؤْمِنُونَ الَّذِينَ إِذَا ذُكِرَ اللَّهُ وَجِلَتْ قُلُوبُهُمْ وَإِذَا تُلِيَتْ عَلَيْهِمْ آيَاتُهُ زَادَتْهُمْ إِيمَانًا وَعَلَى رَبِّهِمْ يَتَوَكَّلُونَ (2) الَّذِينَ يُقِيمُونَ الصَّلَاةَ وَمِمَّا رَزَقْنَاهُمْ يُنْفِقُونَ (3) أُولَئِكَ هُمُ الْمُؤْمِنُونَ حَقًّا لَهُمْ دَرَجَاتٌ عِنْدَ رَبِّهِمْ وَمَغْفِرَةٌ وَرِزْقٌ كَرِيمٌ
“মুমিন তো তারাই, আল্লাহর কথা আলোচিত হলে যাদের অন্তরে ভীতির সঞ্চার হয় এবং তাঁর আয়াতসমূহ তেলাওয়াত করা হলে যাদের ঈমান বৃদ্ধি পায়। আর তারা তাদের প্রভুর উপরই ভরসা করে।”[সূরা আনফাল: ২-৪] অন্তর ভীত হওয়া অন্তরের এক প্রকার আমল।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:
“ঈমানের শাখা সত্তরটিরও কিছু বেশী। অথবা ষাটটির কিছু বেশী। এর সর্বোচ্চ শাখা হচ্ছে— ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ (কোনো উপাস্য সত্য নয়; আল্লাহ্ ছাড়া) এই কথা বলা। আর এর সর্বনিম্ন শাখা হচ্ছে— রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু সরিয়ে ফেলা। আর লজ্জা ঈমানের একটি বিশেষ শাখা।”[হাদীসটি বুখারী (৯) ও মুসলিম (৩৫) বর্ণনা করেন। হাদীসের পাঠ মুসলিমের। বর্ণনা করেছেন আবু হুরাইরা] সুতরাং লজ্জা অন্তরের একটি আমল। আর হাদীসটি আরো প্রমাণ করে যে মুখের কথা ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের আমল ঈমানের অন্তর্ভুক্ত যেমনটি ইতঃপূর্বে বলা হয়েছে।
আনাস ইবনে মালেক রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যে লোকের মধ্যে তিনটি গুণের সমাবেশ ঘটে সে ঈমানের প্রকৃত স্বাদ পায়। (১) তার মধ্যে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের ভালবাসা দুনিয়ার সকল কিছু হতে অধিক প্রিয়। (২) যে লোক কোন মানুষকে কেবলমাত্র আল্লাহর উদ্দেশেই ভালবাসে। (৩) যে লোক কুফরী হতে নাজাতপ্রাপ্ত হয়ে ঈমান ও ইসলামের আলো গ্রহণ করার পর পুনরায় কুফরীতে ফিরে যাওয়াকে এত অপছন্দ করে যেমন আগুনে নিক্ষিপ্ত হওয়াকে অপছন্দ করে।”[হাদীসটি বুখারী (১৬) ও মুসলিম (৪৩) বর্ণনা করেন]
আর এটি সুবিদিত যে ভালোবাসা ও ঘৃণা অন্তরের আমল। হাদীসে এ আমলগুলোকে ঈমানের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বরং যে সমস্ত বিষয়ের মাধ্যমে বান্দা ঈমানের স্বাদ পায় তার একটি হলো এটি।
৪. অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের আমল। যেমন: পবিত্রতা, নামায, রোযা, হজ্জ ও জিহাদ প্রভৃতি।
অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের আমল যে ঈমানের অন্তর্ভুক্ত তার প্রমাণ হলো আল্লাহ তায়ালার বাণী:
وَمَا أُمِرُوا إِلَّا لِيَعْبُدُوا اللَّهَ مُخْلِصِينَ لَهُ الدِّينَ حُنَفَاءَ وَيُقِيمُوا الصَّلَاةَ وَيُؤْتُوا الزَّكَاةَ وَذَلِكَ دِينُ الْقَيِّمَةِ
“অথচ তাদেরকে এই আদেশই দেওয়া হয়েছিল যে, দ্বীনকে কেবল তাঁরই জন্য নিবেদিত করে একনিষ্ঠভাবে তারা আল্লাহর ইবাদত করবে এবং নামায কায়েম করবে ও যাকাত দিবে। আর এটিই তো সঠিক দ্বীন।”[সূরা বাইয়্যিনাহ: ৫]
আর তাঁর বাণী:
إِنَّمَا الْمُؤْمِنُونَ الَّذِينَ آمَنُوا بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ ثُمَّ لَمْ يَرْتَابُوا وَجَاهَدُوا بِأَمْوَالِهِمْ وَأَنْفُسِهِمْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ أُولَئِكَ هُمُ الصَّادِقُونَ
“আসলে মুমিন তারাই যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে বিশ্বাস করে, অতঃপর (এ ব্যাপারে কোনো) সন্দেহ পোষণ করে না। আর নিজেদের জীবন ও সম্পদ দিয়ে আল্লাহর পথে জিহাদ করে। তারাই হলো সত্যবাদী।”[সূরা হুজুরাত: ১৫] আর জিহাদ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের আমলের অন্তর্ভুক্ত।
অনুরূপভাবে আল্লাহর বাণী:
إِنَّمَا الْمُؤْمِنُونَ الَّذِينَ إِذَا ذُكِرَ اللَّهُ وَجِلَتْ قُلُوبُهُمْ وَإِذَا تُلِيَتْ عَلَيْهِمْ آيَاتُهُ زَادَتْهُمْ إِيمَانًا وَعَلَى رَبِّهِمْ يَتَوَكَّلُونَ (2) الَّذِينَ يُقِيمُونَ الصَّلَاةَ وَمِمَّا رَزَقْنَاهُمْ يُنْفِقُونَ (3) أُولَئِكَ هُمُ الْمُؤْمِنُونَ حَقًّا لَهُمْ دَرَجَاتٌ عِنْدَ رَبِّهِمْ وَمَغْفِرَةٌ وَرِزْقٌ كَرِيمٌ
“মুমিন তো তারাই, আল্লাহর কথা আলোচিত হলে যাদের অন্তরে ভীতির সঞ্চার হয় এবং তাঁর আয়াতসমূহ তেলাওয়াত করা হলে যাদের ঈমান বৃদ্ধি পায়। আর তারা তাদের প্রভুর উপরই ভরসা করে। যারা সালাত কায়েম করে এবং আমি তাদেরকে যে রিযিক দিয়েছি, তা হতে ব্যয় করে। তারাই প্রকৃত মুমিন। তাদের জন্য রয়েছে তাদের রবের নিকট উচ্চ মর্যাদাসমূহ এবং ক্ষমা ও সম্মানজনক রিযিক।”[সূরা আনফাল: ২-৪]
নামায পড়া ও যাকাত প্রদান করা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের আমল, যেগুলোকে এখানে ঈমান হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।
এছাড়াও রয়েছে আল্লাহর বাণী:
وَمَا كَانَ اللَّهُ لِيُضِيعَ إِيمَانَكُمْ
“আল্লাহ তোমাদের ঈমান (নামায) নষ্ট করতে পারেন না।”[সূরা বাকারা: ১৪৩] অর্থাৎ বাইতুল মাকদিস অভিমুখে তোমাদের নামায।
ইমাম বুখারী তার সহীহ (১/১৬) গ্রন্থে এই আয়াতের শিরোনাম দিয়েছেন: ‘পরিচ্ছেদ: নামায ঈমানের অন্তর্ভুক্ত’।
আরো রয়েছে আব্দ কাইস গোত্রের প্রতিনিধিকে উদ্দেশ্য করে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদীস: “আমি তোমাদেরকে আল্লাহর প্রতি ঈমান আনার নির্দেশ দিচ্ছি। তোমরা কি জানো আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা কাকে বলে? তা হলো: এই সাক্ষ্য প্রদান করা যে, কোনো উপাস্য সত্য নয়; আল্লাহ ছাড়া, সালাত কায়েম করা, যাকাত প্রদান করা, গনীমতের মালের এক পঞ্চমাংশ প্রদান করা।”[হাদীসটি বর্ণনা করেন বুখারী (৭৫৫৬) ও মুসলিম (১৭), ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমার সূত্রে]
এ সম্পর্কিত দলীল-প্রমাণ অসংখ্য। আর এ ব্যাপারে সংঘটিত ইজমাগুলোও মশহুর।
আল্লাহই সর্বজ্ঞ।