ভাগ্য ও নিয়তিতে নিহিত আল্লাহ তাআলার প্রজ্ঞার পাশাপাশি কুরআন-সুন্নাহতে বিপদাপদ ও পরীক্ষা নেমে আসার সরাসরি দুটি কারণ পাওয়া যায়:
প্রথম কারণ: মানুষের কৃত পাপ ও গুনাহ; হোক সেটি কুফরী, নিছক পাপ কিংবা বড় কবীরা গুনাহ। এগুলোর কারণে ব্যক্তিকে আল্লাহ দ্রুত প্রতিদান ও শাস্তি প্রদান করেন। মহান আল্লাহ বলেন:
وَمَا أَصَابَكَ مِنْ سَيِّئَةٍ فَمِنْ نَفْسِكَ
“তোমার খারাপ যা কিছু ঘটে তা তোমার নিজের কারণেই।”[সূরা নিসা: ৭৯] ব্যাখ্যাকারেরা বলেন: অর্থাৎ তোমার পাপের কারণেই।
তিনি আরো বলেন:
وَمَا أَصَابَكُمْ مِنْ مُصِيبَةٍ فَبِمَا كَسَبَتْ أَيْدِيكُمْ وَيَعْفُو عَنْ كَثِيرٍ
“তোমাদের যে বিপদ আসে তা তোমাদের কৃতকর্মেরই ফল। তিনি তোমাদের অনেক অপরাধ ক্ষমাও করে দেন।”[সূরা শূরা: ৩০][দেখুন: তাফসীরুল কুরআনিল আযীম: (২/৩৬৩)]
আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “আল্লাহ যদি তার বান্দার কল্যাণ চান তাকে দুনিয়ায় দ্রুত শাস্তি প্রদান করেন। আর যদি তার অকল্যাণ চান তাহলে তার পাপের শাস্তি বিলম্বিত করেন; কিয়ামতের দিন তিনি তাকে এর শাস্তি পুরোপুরি প্রদান করবেন।”[হাদীসটি তিরমিযী (২৩৯৬) বর্ণনা করেন আর শাইখ আলবানী সহীহুত তিরমিযী গ্রন্থে সহিহ বলে গণ্য করেন]
দ্বিতীয় কারণ: আল্লাহ কর্তৃক ধৈর্যশীল মুমিনের মর্যাদা বৃদ্ধির ইচ্ছা। তিনি মুমিনকে বিপদগ্রস্ত করেন যাতে সে (তাকদীরের প্রতি) সন্তুষ্ট থাকে এবং ধৈর্যধারণ করে। ফলে তাকে আখিরাতে ধৈর্যশীলদের নেকী পূর্ণরূপে প্রদান করা হবে এবং তাকে আল্লাহর কাছে সফল ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত হিসেবে লেখা হবে। বিপদ-মুসিবত নবী ও নেককারদের সঙ্গি ছিল; তাদেরকে ছেড়ে যায়নি। আল্লাহ তাআলা এটিকে তাদের জন্য সম্মানের কারণ বানিয়েছেন, এর দ্বারা তারা জান্নাতে সুউচ্চ মর্যাদা অর্জন করবেন। এ কারণে সহিহ হাদীসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত আছে: “আল্লাহর তরফ থেকে কোনো বান্দার জন্য যখন কোন মর্যাদা নির্ধারিত থাকে, কিন্তু সে আমল দিয়ে তা লাভ করতে না পারে, তখন আল্লাহ তাকে তার শরীরে অথবা তার সন্তান-সন্ততির উপর বিপদ ঘটিয়ে পরীক্ষা করেন। (যাতে সে আল্লাহর তরফ থেকে নির্ধারিত মর্যাদা লাভ করতে পারে)”[হাদীসটি আবু দাউদ (৩০৯০) বর্ণনা করেন আর শাইখ আলবানী (২৫৯৯) এটিকে সিলসিলাহ সহীহাতে সহিহ বলে গণ্য করেন]
আনাস ইবনে মালেক রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: “বিপদ যত বড় প্রতিদানও তত বড়। আল্লাহ যখন কোনো সম্প্রদায়কে ভালোবাসেন তখন তাদেরকে পরীক্ষা করেন। যে এতে সন্তুষ্ট থাকে তার জন্য রয়েছে সন্তুষ্টি। আর যে এতে নাখোশ হয় তার জন্য রয়েছে অসন্তোষ।”[হাদীসটি তিরমিযী (২৩৯৬) বর্ণনা করেন এবং হাসান বলে গণ্য করেন। শাইখ আলবানী ‘সিলসিলাহ সহীহা’ গ্রন্থে (১৪৬) এটিকে সহিহ বলে গণ্য করেন]
উভয় কারণ আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা কর্তৃক বর্ণিত হাদীসে উদ্ধৃত হয়েছে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: “যদি কোন মুমিন ব্যক্তির দেহে কাঁটা বিদ্ধ হয় অথবা সে যদি এর চেয়ে বেশি কিছুতে আক্রান্ত হয় তবে এর বিনিময়ে আল্লাহ তাআলা তার মর্যাদা একধাপ বাড়িয়ে দেন অথবা তার একটি গুনাহ মাফ করে দেন।”[হাদীসটি বুখারী (৫৬৪১) ও মুসলিম (২৫৭৩) বর্ণনা করেন]
এই দুইটি কারণ পৃথকভাবে ঘটার চেয়ে দুইটি একত্রে ঘটা অধিক মর্যাদাপূর্ণ। আপনি কি দেখেন না যে, কাউকে যদি তার পাপের কারণে আল্লাহ কোনো বিপদের মাধ্যমে পরীক্ষা করেন, অতঃপর সে ধৈর্য ধরে এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে; তাহলে আল্লাহ তার গুনাহ মাফ করে দেন, জান্নাতে তার মর্যাদা বৃদ্ধি করেন এবং তাকে ধৈর্যশীল ও সওয়াব প্রত্যাশীদের নেকী পূর্ণরূপে প্রদান করেন!
অনুরূপভাবে যাকে আল্লাহ জান্নাতের উচ্চ মর্যাদায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিপদের দ্বারা পরীক্ষা করেন। এই মুসিবত তার পূর্বের পাপগুলোকে মোচন করে এবং দুনিয়াতেই তার কৃতকর্মের প্রতিদান হিসেবে গণ্য হয়; ফলে সে আখিরাতে পুনরায় শাস্তি পাবে না। এমনটি কিছু রাসূলদের ক্ষেত্রে ঘটেছে, যেমন: আদম আলাইহিস সালাম ও ইউনুস আলাইহিস সালাম। আল্লাহ আদম আলাইহিস সালামকে জান্নাত থেকে বের করে দেয়ার মাধ্যমে পরীক্ষা করেছেন এবং ইউনুস ইবনে মাত্তাকে পানিতে ডুবিয়ে তিমির পেটে রাখার মাধ্যমে পরীক্ষা করেছেন। তারা ধৈর্যধারণ ও সওয়াব প্রত্যাশা করায় আল্লাহ এই পরীক্ষার বদৌলতে তাদের মর্যাদা বৃদ্ধি করেছেন। আর মুসিবতটি তাদের দুজনের দ্বারা সংঘটিত ত্রুটির কাফ্ফারা (প্রতিকার) হয়ে যায়, আলাইহিমাস সালাতু ওয়াস-সালাম।
এটি আপনাকে বুঝিয়ে দেয় যে, দুনিয়াবী শাস্তি আখিরাতের শাস্তি থেকে বিচ্ছিন্ন নয় এবং এই কারণদ্বয় একত্রে বহু সহিহ হাদীসে উদ্ধৃত হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে সাদ ইবনে আবী ওয়াক্কাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হাদীস, তিনি বলেন: আমি বললাম: হে আল্লাহর রাসূল! কোন্ মানুষের সর্বাপেক্ষা কঠিন পরীক্ষা হয়? তিনি বলেন: “নবীদের। অতঃপর মর্যাদার দিক থেকে তাদের পরবর্তীদের, অতঃপর তাদের পরবর্তীদের। বান্দাকে তার দ্বীনদারির মাত্রা অনুসারে পরীক্ষা করা হয়। যদি সে তার দ্বীনদারিতে অবিচল হয় তবে তার পরীক্ষাও কঠিন হয়। আর যদি সে তার দ্বীনদারিতে নমনীয় হয় তবে তার পরীক্ষাও তদানুপাতে হয়। এভাবে বান্দার অহরহ বিপদ-আপদ ঘটতে থাকে। এক পর্যায়ে তাকে এভাবে ছেড়ে দেয়া হয় যে, সে পৃথিবীর বুকে গুনাহমুক্ত অবস্থায় বিচরণ করে।”[হাদীসটি তিরমিযী (২৩৯৮) বর্ণনা করেন এবং বলেন: হাদীসটি হাসান সহিহ]
তবুও হতে পারে কিছু কিছু পরীক্ষায় এই দুই কারণের কোনো একটি কারণ অন্যটির চেয়ে বেশি স্পষ্ট। এটা বুঝা সম্ভব ঐ বিপদের সাথে সংশ্লিষ্ট পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির আলোকে:
যদি বিপদগ্রস্ত ব্যক্তি কাফের হয় তাহলে নিশ্চয় তার বিপদ মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য নয়। আল্লাহর কাছে কিয়ামতের দিন কাফেরের কোনো ওজনই থাকবে না। কিন্তু তার উপর নেমে আসা বিপদ অন্য কারো জন্য শিক্ষা হতে পারে; যাতে অন্য কেউ তার মত না করে। আবার এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে তার জন্য দুনিয়ার অগ্রিম শাস্তি হতে পারে; যা আখিরাতে তার জন্য জমিয়ে রাখা শাস্তির অতিরিক্ত। আল্লাহ তাআলা বলেন:
أَفَمَنْ هُوَ قَائِمٌ عَلَى كُلِّ نَفْسٍ بِمَا كَسَبَتْ وَجَعَلُوا لِلَّهِ شُرَكَاءَ قُلْ سَمُّوهُمْ أَمْ تُنَبِّئُونَهُ بِمَا لا يَعْلَمُ فِي الأرْضِ أَمْ بِظَاهِرٍ مِنَ الْقَوْلِ بَلْ زُيِّنَ لِلَّذِينَ كَفَرُوا مَكْرُهُمْ وَصُدُّوا عَنِ السَّبِيلِ وَمَنْ يُضْلِلِ اللَّهُ فَمَا لَهُ مِنْ هَادٍ * لَهُمْ عَذَابٌ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَلَعَذَابُ الآخِرَةِ أَشَقُّ وَمَا لَهُمْ مِنَ اللَّهِ مِنْ وَاقٍ
“তাহলে কি যিনি (আল্লাহ) প্রতিটি মানুষের যাবতীয় কাজকর্ম তদারক করেন (তিনি তাদের মত হতে পারেন যারা তা করে না)? অথছ তারা আল্লাহর শরীক সাব্যস্ত করেছে। বলো, “তোমরা তাদের (ঐ শরীকদের) নাম বলো। তোমরা কি আল্লাহকে এমন কিছু (নাম) জানাবে যা এই দুনিয়ায় (আছে বলে) তিনি জানেন না? নাকি শুধু (অসার) বাহ্যিক কথা দ্বারা (এদের নামকরণ করে থাকো)?” আসলে কাফেরদের প্রতারণাকে তাদের দৃষ্টিতে শোভন করা হয়েছে এবং তাদেরকে সৎপথ থেকে বিরত রাখা হয়েছে। আর আল্লাহ যাকে বিপথগামী করেন তার জন্য কোনো পথপ্রদর্শক নেই। দুনিয়ার জীবনেই তাদের জন্য শাস্তি রয়েছে। পরকালের শাস্তি তো আরো কঠিন। আল্লাহর হাত থেকে তাদেরকে রক্ষা করার মত কেউ নেই।”[সূরা রা’দ: ৩৩-৩৪]
আর যদি বিপদগ্রস্ত ব্যক্তি প্রকাশ্য পাপে লিপ্ত মুসলিম হয় কিংবা প্রকাশ্যে গুনাহকারী ফাসেক হয় তাহলে প্রবল ধারণা এই যে, উক্ত বিপদের দ্বারা তাকে শাস্তি প্রদান করা হচ্ছে। কারণ মর্যাদা বৃদ্ধির আগে পাপ মোচন করা হয়। আর পাপী ব্যক্তির জন্য মর্যাদা বৃদ্ধির চেয়ে পাপ মোচন বেশি জরুরী।
অন্যদিকে বিপদগ্রস্ত ব্যক্তি যদি ইবাদতগুজার, আল্লাহর অনুগত, নেককার মুসলিম হয় এবং তার মাঝে ও আল্লাহর মাঝে কেবল প্রকৃত বন্দেগী, আল্লাহর প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা, আল্লাহর কাছে ধর্ণা দেয়া ও রোনাজারি করার সম্পর্ক হয়; তাহলে প্রবল ধারণা এই যে, এর মাধ্যমে আল্লাহ তার সম্মান ও মর্যাদা বৃদ্ধি করে দিচ্ছেন। বান্দারা যমীনে আল্লাহর সাক্ষী। তারা যদি তার মাঝে উত্তমতা দেখতে পায় তাহলে তারা বিপদে তার ধৈর্যধারণ শর্ত সাপেক্ষে আল্লাহর কাছে তার মর্যাদা বৃদ্ধির সুসংবাদ দিতে পারে।
কিন্তু যদি বিপদগ্রস্ত ব্যক্তি অসন্তোষ ও অস্থিরতা প্রকাশ করে তাহলে তার পরীক্ষা আল্লাহর পক্ষ থেকে তার মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য সম্মানজনক এমনটি মনে করা হবে না। যেহেতু আল্লাহ তাকে অধৈর্য ও অসন্তুষ্ট হতে দেখেছেন। এক্ষেত্রে পরিস্থিতি বিবেচনায় তার ক্ষেত্রে সবচেয়ে কাছাকাছি অবস্থা হচ্ছে: তাকে প্রতিদান ও শাস্তি প্রদান করা হচ্ছে। কিছু নেককার বলেন: ‘শাস্তি ও প্রতিদানের পরীক্ষার আলামত হচ্ছে: বিপদের অবস্থায় ধৈর্যধারণ না করা এবং সৃষ্টিকুলের কাছে অভিযোগ-অনুযোগ করা। আর পাপ মোচনের পরীক্ষার আলামত হচ্ছে: কোনো ধরনের অভিযোগ ছাড়া উত্তম ধৈর্যধারণ। কোনো উৎকণ্ঠা বা বিরক্তি প্রকাশ না করা। আল্লাহর আদেশ পালন ও আনুগত্যে কোনো ভার অনুভব না করা। আর মর্যাদা বৃদ্ধির পরীক্ষার আলামত হচ্ছে: এতে সন্তুষ্ট ও মন প্রশান্ত থাকা। বিপদ না কেটে যাওয়া পর্যন্ত তাকদীরের প্রতি সমর্পিত থাকা।’[সমাপ্ত]
বস্তুত এগুলো সবই ধারণা-নির্ভর আলামত। বান্দা এগুলো নিয়ে ভাবতে পারে যাতে করে বিপদ-আপদে নিহিত আল্লাহর কিছু প্রজ্ঞা সে বুঝতে পারে। তবে, নিশ্চিতভাবে কোনকিছু বলার জন্য নয়; সেটা নিজের ব্যাপারে হোক কিংবা অন্য কোন বিপদগ্রস্ত বান্দাদের ব্যাপারে হোক।
এই বিশদ আলোচনার চেয়ে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ হলো এই কথা বলা: বিপদ-আপদ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে বান্দা প্রায়োগিক যে শিক্ষা লাভ করা উচিত সেটি হচ্ছে: বান্দা যদি ধৈর্য ধারণ করে ও সওয়াবপ্রাপ্তির নিয়ত করে তাহলে প্রতিটি বিপদ তার জন্য কল্যাণকর। আর যদি সে অসন্তোষ ও অস্থিরতা প্রকাশ করে তাহলে প্রতিটি বিপদ তার জন্য অনিষ্ট ও ক্ষতিকর। যদি সে বিপদ-আপদ সহ্য করা এবং আল্লাহর ফয়সালায় সন্তুষ্ট থাকার ব্যাপারে নিজেকে অভ্যস্ত করে তোলে তাহলে বিপদের কারণ জানা কিংবা না জানা তার কোনো ক্ষতি করবে না। বরং তার উচিত হচ্ছে সবসময় নিজেকে পাপের এবং কমতির দায়ে অভিযুক্ত করে চলা। নিজের মাঝে থাকা ঘাটতি ও স্খলনের খোঁজ করা। আমরা সবাই ভুলকারী। আমাদের মাঝে এমন কে আছে যে আল্লাহর হক আদায়ে কসুর করেনি। যেখানে আল্লাহর আদেশ লঙ্ঘনের কারণে আল্লাহ উহুদের যুদ্ধের দিন নবী-রাসূলদের পরে শ্রেষ্ঠ মানুষ তথা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবীদেরকে বড় হত্যাকাণ্ডের সম্মুখীন করেছিলেন, সেখানে কীভাবে একজন ব্যক্তি প্রতিটি বিপদে নিজের মর্যাদা বৃদ্ধির উপযুক্ততার কথা ভাবতে পারে? ইব্রাহীম ইবনে আদহাম রাহিমাহুল্লাহ প্রবল বায়ু প্রবাহ এবং আকাশের রং পরিবর্তিত হতে দেখলে বলতেন: ‘এটি আমার পাপের কারণে। আমি তোমাদের এখান থেকে বেরিয়ে গেলে তোমাদের উপর এই বিপদ আসত না।’ তাহলে আমাদের মত গুনাহগার ঘাটতিতে পরিপূর্ণ মানুষদের কী অবস্থা?
এর থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে বান্দা সবসময় আল্লাহর ব্যাপারে সুধারণা রাখবে। সর্বাবস্থায় আল্লাহ উত্তম ধারণার সবচেয়ে উপযুক্ত। একমাত্র তাঁকেই ভয় করা উচিত। আর তিনিই কেবল ক্ষমা করতে পারেন।
আমরা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি: তিনি যেন আমাদের প্রতি দয়া করেন, আমাদেরকে ক্ষমা করে দেন, আমাদেরকে এমন কিছু শিক্ষা দেন যা আমাদের উপকারে আসবে এবং আমাদের বিপদ-আপদে তিনি যেন আমাদেরকে নেকী প্রদান করেন। তিনি সর্বশ্রোতা ও দোয়া কবুলকারী।
আল্লাহই সর্বজ্ঞ।