109

শরীয়তসম্মত হাস্যরসের শর্তাবলি

প্রশ্ন: 22170

শরীয়তসম্মত হাস্যরসের শর্তাবলি কী কী?

উত্তর

সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, দুরুদ ও সালাম বর্ষিত হোক আল্লাহর রাসূলের প্রতি। পর সমাচার:

শরীয়তসম্মত হাস্যরসের কিছু শর্ত রয়েছে, যথা:

১- দ্বীন নিয়ে হাসি-ঠাট্টা করা যাবে না:

কারণ এটি অন্যতম ইসলাম ভঙ্গকারী বিষয়। আল্লাহ তাআলা বলেন:

وَلَئِن سَأَلۡتَهُمۡ لَيَقُولُنَّ إِنَّمَا كُنَّا نَخُوضُ وَنَلۡعَبُۚ قُلۡ أَبِٱللَّهِ وَءَايَٰتِهِۦ وَرَسُولِهِۦ كُنتُمۡ تَسۡتَهۡزِءُونَ

[التوبة: 65]

“যদি তাদেরকে প্রশ্ন করা হয় তাহলে বলবে, “আমরা তো শুধু কথাবার্তা বলছিলাম আর খেল-তামাশা করছিলাম।” বলো: “তোমরা কি আল্লাহ ও তাঁর বিধানসমূহ এবং তাঁর রাসূলকে নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করছিলে? অজুহাত দেখিয়ো না। তোমরা ঈমান আনার পরে কাফের হয়ে গেছ।”[সূরা তাওবাহ: ৬৫-৬৬]

ইবনে তাইমিয়্যা রাহিমাহুল্লাহ বলেন: ‘আল্লাহ, তাঁর আয়াতসমূহ ও তাঁর রাসূলকে নিয়ে ঠাট্টা করা এমন কুফরী যার মাধ্যমে ব্যক্তি ঈমান আনার পরে কাফের হয়ে যায়।’

অনুরূপভাবে কিছু কিছু সুন্নতকে নিয়ে হাসি-ঠাট্টা করা। যে সুন্নতগুলোকে নিয়ে ঠাট্টা করা হয়: দাড়ি রাখা, হিজাব পরা বা টাকনুর উপরে জামা পরা।

শাইখ মুহাম্মাদ ইবনে উছাইমীন ‘আল-মাজমুউস সামীন’ বইয়ে (১/৬৩) বলেন: ‘আল্লাহর রুবুবিয়্যাত, রিসালাত, ওহী এবং দ্বীন সম্মানিত বিষয়। কারো জন্য এগুলো নিয়ে ঠাট্টা-মশকরা করা জায়েয নেই। কেউ এমনটি করলে সে কাফের হয়ে যাবে। কারণ ঠাট্টা-মশকরা করা প্রমাণ করে যে, সে আল্লাহ, তাঁর রাসূল, কিতাবাদি এবং শরীয়তকে হেয় করে, তাচ্ছিল্য করে। যে ব্যক্তি এমনটি করবে তাকে তার কৃতকর্মের জন্য আল্লাহর কাছে তাওবা করতে হবে। কারণ এটি নিফাক। তাকে আল্লাহর কাছে তাওবা করে ক্ষমা চাইতে হবে, আমল ঠিক করতে হবে এবং হৃদয়ে আল্লাহর প্রতি শঙ্কা, সম্মান, ভয় ও ভালোবাসা পয়দা করতে হবে। আল্লাহই তৌফিকদাতা।’

২- হাস্যরস সত্য হতে হবে; মিথ্যা নয়:

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: “যে ব্যক্তি মানুষকে হাসানোর জন্য কথা বলার সময় মিথ্যা বলে সে ধ্বংস হোক।”[হাদীসটি আবু দাউদ বর্ণনা করেন]

কিছু জোকার যারা এ ধরনের চর্চা যাদের অভ্যাস হয়ে গেছে তাদের ব্যাপারে সতর্ক করে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: “নিশ্চয় মানুষ তার গল্পের সঙ্গীদেরকে হাসানোর জন্য এমন কথাও বলে যার দরুন সে জাহান্নামের এত গভীরে নিক্ষিপ্ত হবে যা সুরাইয়্যা (প্লেইডেস) তারকার চেয়েও দূরবর্তী।”[হাদীসটি আহমদ বর্ণনা করেন]

৩- ভয় না দেখানো:

বিশেষতঃ এমন ব্যক্তিগণ কর্তৃক যারা শারীরিকভাবে শক্তিশালী বা যাদের হাতে অস্ত্র আছে বা লোহার টুকরা আছে কিংবা যারা অন্ধকার ও মানুষের দুর্বলতাকে পুঁজি করে ভয় দেখিয়ে থাকে। আবু লাইলা থেকে বর্ণিত আছে তিনি বলেন: মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবীরা আমাদের কাছে হাদিস বর্ণনা করেছেন: একবার তারা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে পথ চলছিলেন। পথিমধ্যে তাদের একজন ঘুমিয়ে পড়ে এবং অপর একজন একটা দড়ি নিয়ে এসে তাকে ভয় পাইয়ে দেয়। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: “কোনো মুসলিমের জন্য অন্য মুসলিমকে ভয় দেখানো জায়েয নেই।”[হাদীসটি আবু দাউদ বর্ণনা করেন]

৪- ঠাট্টা-মশকরা, তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা ও খোঁচা মারা:

মানুষদের অনুধাবনশক্তি, বুদ্ধিমত্তার তারতম্য রয়েছে। তাদের ব্যক্তিত্বের ব্যবধান রয়েছে। কিছু দুর্বল আত্মার মানুষ আছে যারা অন্যদের নিয়ে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে এবং খোঁচা দেয়। তারা কখনো কোন ব্যক্তিকে হাস্যরসের পাত্র বানায়। আল্লাহ এমনটি করতে নিষেধ করে বলেছেন:

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ لَا يَسۡخَرۡ قَوۡمٞ مِّن قَوۡمٍ عَسَىٰٓ أَن يَكُونُواْ خَيۡرٗا مِّنۡهُمۡ وَلَا نِسَآءٞ مِّن نِّسَآءٍ عَسَىٰٓ أَن يَكُنَّ خَيۡرٗا مِّنۡهُنَّۖ وَلَا تَلۡمِزُوٓاْ أَنفُسَكُمۡ وَلَا تَنَابَزُواْ بِٱلۡأَلۡقَٰبِۖ بِئۡسَ ٱلِٱسۡمُ ٱلۡفُسُوقُ بَعۡدَ ٱلۡإِيمَٰنِۚ

 [الحجرات: 11]

“হে ঈমানদারগণ! (তোমাদের) একদল যেন অন্য দলকে উপহাস না করে। হয়তো ওরাই এদের চেয়ে (অর্থাৎ যাদেরকে উপহাস করা হয় তারা উপহাসকারীদের চেয়ে) ভালো। নারীরাও যেন নারীদেরকে উপহাস না করে। হয়তো ওরাই এদের চেয়ে ভালো। তোমরা নিজেদেরকে (একে অপরকে) দোষারোপ করো না এবং পরস্পরকে খারাপ উপাধিতে ডেকো না। ঈমানের পর অপনাম (প্রদান) বড় খারাপ!”[সূরা হুজুরাত: ১১]

ইবনু কাসীর উক্ত আয়াতের তাফসীরে বলেন: ‘এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো তাদেরকে হেয় করা, তুচ্ছ করা ও তাদের নিয়ে ঠাট্টা করা। এটি হারাম। এমন কাজ করা মুনাফিকদের বৈশিষ্ট্যের অন্তর্ভুক্ত।’

কেউ কেউ আকার-আকৃতি, হাঁটার ধরন এবং বাহন নিয়ে তাচ্ছিল্য করে। যে ব্যক্তি এমন উপহাস করে তার ব্যাপারে আশঙ্কা হয় যে আল্লাহ তাকে তার উপহাসের শাস্তি দিবেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: “তোমার ভাইয়ের বিপদে তুমি আনন্দ করো না। অন্যথায় আল্লাহ তাকে দয়া করবেন এবং তোমাকে সেই বিপদে ফেলবেন।”[হাদীসটি তিরমিযী বর্ণনা করেন]

ঠাট্টা করা ও অন্যকে কষ্ট দেওয়ার ব্যাপারে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সতর্ক করেছেন। কারণ হাসি-ঠাট্টা থেকে শত্রুতা ও ঘৃণা সৃষ্টি হয়। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “এক মুসলিম অপর মুসলিমের ভাই। সে তার উপর যুলুম করবে না, তাকে শত্রুর হাতে ছেড়ে দিবে না, তাকে হেয়জ্ঞান করবে না। তাকওয়া এখানে (এ কথা বলে তিনি নিজের বুকের দিকে তিন বার ইশারা করলেন)। একজন মানুষ নিকৃষ্ট হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে সে তার মুসলিম ভাইকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে। প্রত্যেক মুসলিমের জন্য অপর মুসলিমের রক্ত, সম্পদ ও ইজ্জত হারাম।”[হাদীসটি মুসলিম বর্ণনা করেন]

৫- হাস্যরস মাত্রাতিরিক্ত না হওয়া:

হাস্যরস করা কিছু মানুষের বাড়াবাড়ি পর্যায়ের অভ্যাস ও স্বভাবে পরিণত হয়। অথচ এর বিপরীতে গাম্ভীর্যই একজন মুসলিমের বৈশিষ্ট্য। হাস্যরস হলো কর্মচাঞ্চল্য ও উদ্যম ধরে রাখা ও একগুঁয়েমি দূর করার জন্য অবসর কাটানো ও বিশেষ ছাড়।

উমর ইবনে আব্দুল আযীয রাহিমাহুল্লাহ বলেন: ‘তোমরা হাস্যরস থেকে বেঁচে থাকো। কারণ এটি এমন নির্বুদ্ধিতা, যা শত্রুতা তৈরি করে।’

ইমাম নববী বলেন: ‘নিষিদ্ধ হাস্যরস হলো: যাতে বাড়াবাড়ি রয়েছে ও যা নিয়মিত করা হয়। কারণ এটি হাসির উদ্রেক করে ও হৃদয়ে কঠোরতা সৃষ্টি করে এবং আল্লাহ তায়ালার যিকির থেকে বিরত রাখে। এটি অনেক সময় অন্যকে কষ্ট দেওয়ার দিকে পর্যবসিত হয়, বিদ্বেষ তৈরী করে, সম্মান ও গাম্ভীর্য নষ্ট করে। আর যে ব্যক্তি এই বিষয়গুলো থেকে নিরাপদ থাকতে পারে সেটিই হলো জায়েয হাস্যরস; যে ধরণের হাস্যরস রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম করতেন।’

৬- মানুষের মর্যাদা বুঝতে পারা:

কিছু মানুষ আছে যারা কোনো বিবেচনাবোধ ছাড়া সবার সাথে হাস্যরস করে। আলেমের রয়েছে বিশেষ মর্যাদা। বয়সে বড় মানুষের রয়েছে নিজস্ব সম্মান। বৃদ্ধ ব্যক্তির রয়েছে শ্রদ্ধা পাওয়ার অধিকার। সুতরাং যার সাথে হাস্যরস করা হচ্ছে তাকে চেনা জরুরী। মূর্খ, নির্বোধ বা অপরিচিত কারো সাথে হাস্যরস করা ঠিক নয়।

এ প্রসঙ্গে উমর ইবনে আব্দুল আযীয বলেছেন: ‘তোমরা হাস্যরস করায় সংযম রাখো। কারণ এটি ব্যক্তিত্বকে নষ্ট করে দেয়।’

সা'দ ইবনে আবী ওয়াক্কাস বলেন: ‘তুমি হাস্যরস কম করবে। কারণ মাত্রাতিরিক্ত হাস্যরস করলে করলে মর্যাদা নষ্ট হয় এবং নির্বোধেরা তোমার ব্যাপারে আস্কারা পায়।’

৭- হাস্যরস হবে খাবারের সাথে যতটুকু লবণ লাগে ততটুকু:

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “তুমি বেশি বেশি হেসো না। কারণ বেশি হাসা অন্তরকে মেরে ফেলে।”[সহীহুল জামে: ৭৩১২]

উমর ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন: ‘যে ব্যক্তি বেশি বেশি হাসে তার ব্যক্তিত্ব কমে যায়। যে ব্যক্তি হাস্যরস করে তাকে হালকাভাবে নেওয়া হয়। যে ব্যক্তি কোনো কাজ বেশি বেশি করে সে এটির জন্য পরিচিতি লাভ করে।’

কবি বলেন:

"সাবধান! সাবধান! ঠাট্টা করা থেকে বিরত থাকো, কেননা এটি তোমার বিরুদ্ধে শিশু, নীচু ও অধমদেরকে দুঃসাহসী করে তোলে।

এটি সম্মানকে বিলীন করে দেয় এবং ইজ্জতের বদলে অপমান বয়ে আনে।"

৮- হাস্যরসের মধ্যে কোন গীবত থাকতে পারবে না:

গীবত একটি নিকৃষ্ট রোগ। কেউ কেউ মজা করে, ঠাট্টাচ্ছলে গীবত করে। অথচ এটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গীবতের যে পরিচয় দিয়েছেন সেটার মধ্যে পড়ে। তিনি বলেছেন: “তোমার ভাইয়ের ব্যাপারে এমন কথা বলা যা সে অপছন্দ করে।”[হাদীসটি মুসলিম বর্ণনা করেন]

৯- হাস্যরসের জন্য উপযুক্ত সময় বাছাই করা:

যেমন: কোনো ভ্রমণে কিংবা কোনো আড্ডার আসরে কিংবা কোনো বন্ধুর সাথে সাক্ষাতের সময় তার সাথে সুন্দর কোনো কৌতুক অথবা চমৎকার কোনো হাস্যকর ঘটনা কিংবা হালকা কোনো হাস্যরস করে তার হৃদয়ে ভালোবাসা ও মনে আনন্দ সৃষ্টি করা। অথবা যখন পারিবারিক সমস্যা জটিল হয়ে ওঠে এবং স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কেউ রাগান্বিত হয় তখন হালকা কৌতুক-হাস্যরস সেই বিচ্ছিন্নতা দূর করে এবং পানিকে তার স্বাভাবিক খাতে ফিরিয়ে আনে।"

হে মুসলিম!

এক ব্যক্তি সুফিয়ান ইবনে উয়াইনা রাহিমাহুল্লাহুকে জিজ্ঞাসা করেছিল: 'হাস্যরস তো একটি নিন্দনীয় কাজ! তিনি তাকে উত্তর দেন: বরং এটি সুন্নাহ; তবে যে এটি সুন্দরভাবে করতে পারে এবং যথাস্থানে প্রয়োগ করে তার জন্য।'

যদিও বর্তমানে উম্মাহর সদস্যদের মধ্যে পারস্পরিক ভালোবাসা বৃদ্ধি এবং জীবন থেকে বিরক্তি দূর করার প্রয়োজন রয়েছে, কিন্তু তবুও সে বিনোদন, হাসি-ঠাট্টা ও মজা-মশকরার মধ্যে এতটাই ডুবে গেছে যে এটি তার অভ্যাস হয়ে গেছে এবং তার মজলিস ও আড্ডাগুলোর মূল বিষয়বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে সময় নষ্ট হচ্ছে, জীবনকাল শেষ হয়ে যাচ্ছে এবং আমলনামা হাস্যরস ও খেলাধুলায় ভরে যাচ্ছে।"

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “আমি যা জানি তোমরা যদি তা জানতে তাহলে তোমরা কম হাসতে ও বেশি কাঁদতে।” ফাতহুল বারী গ্রন্থের প্রণেতা বলেন: ‘এখানে জানা দ্বারা উদ্দেশ্য হলো: আল্লাহর বড়ত্বকে জানা, যারা তাঁর অবাধ্য হয় তাদের প্রতি তাঁর প্রতিশোধগ্রহণকে জানা। আর সেই ভয়াবহতাগুলোকে জানা যেগুলো মৃত্যুর সময় রূহ বের হওয়ার সময় ঘটে, কবরে ঘটে এবং কিয়ামতের দিন ঘটবে।’

সুতরাং মুসলিম নর-নারীর উচিত নিজ জীবনে সৎ ও দৃঢ় সঙ্গী বাছাই করা যারা তাকে দৃঢ়তার সাথে দুনিয়ার জীবন কাটাতে এবং আল্লাহর দিকে অগ্রসর হতে সহায়তা করবে, যারা উত্তম ও নেককারদেরকে আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করে। বিলাল ইবনে সাদ (রাঃ) বলেন: ‘আমি তাদেরকে তীরের লক্ষ্যভেদের স্থানে হাস্যরত অবস্থায় ছুটোছুটি করতে দেখেছি। কিন্তু রাত ঘনিয়ে এলে তারা সন্ন্যাসীতে পরিণত হতেন।’

ইবনে উমর রাদিয়াল্লাহু আনহুমাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল: ‘নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবীরা কি হাসতেন?’ তিনি উত্তর দেন: ‘হ্যাঁ; তবে তাদের অন্তরে ঈমান ছিল পাহাড়ের সমান।’

সুতরাং আপনি এদের মতো দিনের বেলা অশ্বারোহী; রাতের বেলা সন্ন্যাসী হয়ে উঠুন।

আল্লাহ আমাদেরকে, আপনাদেরকে এবং আমাদের পিতা-মাতাদেরকে কিয়ামতের দিন নিরাপদ ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করুন, যাদেরকে সেদিন ডেকে বলা হবে: ‘তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করো। তোমাদের জন্য কোনো ভয় নেই। আর তোমরা দুঃখিতও হবে না।’

আমাদের নবী মুহাম্মাদ, তাঁর পরিবার ও সকল সাহাবীর উপর দরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক।

সূত্র

সূত্র

আব্দুল মালিক আল-কাসিমের একটি লেখা

at email

নিউজলেটার

ওয়েবসাইটের ইমেইল ভিত্তিক নিউজলেটারে সাবস্ক্রাইব করুন

phone

ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব অ্যাপ্লিকেশন

কন্টেন্টে আরও দ্রুত পৌঁছতে ও ইন্টারনেট ছাড়া ব্রাউজ করতে

download iosdownload android