সংরক্ষণ করুন
  • New List
আরও
    সংরক্ষণ করুন
    • New List
7721/জিলহজ/1446 , 17/জুন/2025

উদ্বেগের সর্বোত্তম চিকিৎসা কী?

প্রশ্ন: 21677

এক ব্যক্তি কঠিন মানসিক অবস্থা পার করছেন। তিনি উদ্বিগ্নতা ও মানসিক চাপ থেকে বাঁচার জন্য দোয়া করছেন। তিনি কি কোনো মুসলিম মনোরোগ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে পারেন? যদি তা বৈধ হয় তাহলে ঐ মুসলিম চিকিৎসকের আকীদা বিশুদ্ধ কিনা সেটি কি তাকে নিশ্চিত হতে হবে? উদ্বেগ দূর করার জন্য এন্টিডিপ্রেসেন্ট ঔষধ গ্রহণ করা কি জায়েয?

উত্তর

সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য। দুরুদ ও সালাম বর্ষিত হোক আল্লাহর

মানুষ যে সমস্ত রোগে আক্রান্ত হয় সেগুলোর জন্য চিকিৎসা গ্রহণ করতে বাধা নেই। এটি নিষিদ্ধ নয়। কিন্তু শর্ত হলো এই ঔষধের এমন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া না থাকা যা বর্তমান রোগের চেয়েও বেশি ক্ষতিকর ও ভয়াবহ।

আমরা রোগীদেরকে পরামর্শ দিব- হোক তারা উদ্বেগ ও বিষণ্নতার মতো মানসিক রোগের রোগী কিংবা বিভিন্ন ব্যথার মতো শারীরিক রোগে আক্রান্ত- তারা যেন প্রথমে অবিলম্বে শরয়ি রুকইয়া (ঝাড়ফুঁক) করেন। রুকইয়া মানে হলো এমন আয়াত ও হাদীসগুলো পাঠ করা শরীয়ত যেগুলো পড়ার পরামর্শ দিয়েছে এবং জানিয়েছে যে এগুলোতে রোগের চিকিৎসা হয়ে থাকে।

এরপর আমরা তাকে আল্লাহর সৃষ্টি প্রাকৃতিক উপাদান থেকেও চিকিৎসা গ্রহণের পরামর্শ দিব। যেমন: মধু ও বিভিন্ন উদ্ভিদ। এগুলোতে আল্লাহ নানান অসুখের চিকিৎসা রেখেছেন। কিন্তু এগুলো গ্রহণকারীর উপর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে না।

আমরা মনে করি উদ্বেগের চিকিৎসা হিসেবে রাসায়নিকভাবে প্রস্তুত কোন ঔষধ গ্রহণ না করা বাঞ্চনীয়। কারণ এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির যতটুকু রাসায়নিক চিকিৎসা প্রয়োজন তার চেয়ে বেশি মানসিক চিকিৎসা প্রয়োজন।

এমন রোগীর প্রয়োজন নিজের প্রভুর প্রতি ঈমান ও নির্ভরতা বৃদ্ধি করা এবং বেশি বেশি দোয়া করা ও নামায পড়া। এগুলো করলে তার উদ্বেগ দূর হয়ে যাবে। নেক কাজের প্রতি অন্তর খুলে গেলে সেটি বহু মানসিক রোগ দূর করতে অনেক বড় প্রভাব রাখে। তাই আমরা কোনো বাতিল আকীদাধারী মনোচিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দিবো না; আর কাফের ডাক্তারের কাছে তো নয়ই। চিকিৎসক যত বেশি আল্লাহকে জানবেন, তাঁর দ্বীনকে জানবেন তিনি রোগীর ব্যাপারে তত বেশি কল্যাণকামী হবে।

আল্লাহ তায়ালা বলেন:

مَنۡ عَمِلَ صَٰلِحٗا مِّن ذَكَرٍ أَوۡ أُنثَىٰ وَهُوَ مُؤۡمِنٞ فَلَنُحۡيِيَنَّهُۥ حَيَوٰةٗ طَيِّبَةٗۖ وَلَنَجۡزِيَنَّهُمۡ أَجۡرَهُم بِأَحۡسَنِ مَا كَانُواْ يَعۡمَلُونَ 

“যে পুরুষ বা নারী ঈমানদার অবস্থায় সৎকাজ করবে তাকে আমি উত্তম জীবন দান করব এবং অবশ্যই তাদেরকে তাদের শ্রেষ্ঠ কাজের পুরস্কার দেব।”[সূরা নাহল: ৯৭]

সুহাইব (রাঃ) বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: “মুমিনের ব্যাপারটাই আশ্চর্যজনক। তার প্রতিটি কাজেই তার জন্য মঙ্গল রয়েছে। এটা মুমিন ছাড়া অন্য কারো জন্য নয়। তার সুখকর কিছু ঘটলে সে আল্লাহর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। ফলে এটা তার জন্য কল্যাণকর হয়। আর দুঃখজনক কিছু ঘটলে সে ধৈর্য ধারণ করে। ফলে এটাও তার জন্য কল্যাণকর হয়।”[হাদীসটি মুসলিম (২৯৯৯) বর্ণনা করেন]

মুসলিমের জন্য দুনিয়া তার চিন্তার কেন্দ্রবিন্দু হওয়া উচিত নয়। রিযিকের ব্যাপারে উদ্বেগ যেন তার মননে ও মস্তিষ্কে ঢুকে না পড়ে। অন্যথায় তার অসুস্থতা ও উদ্বেগ বেড়েই যাবে।

আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তির চিন্তার বিষয় হবে পরকাল আল্লাহ সেই ব্যক্তির অন্তরকে অভাবমুক্ত করে দিবেন, তার যাবতীয় বিক্ষিপ্ত কাজকে সুসংযত করে দিবেন এবং দুনিয়া হীন হয়ে তার কাছে ধরা দিবে। আর যে ব্যক্তির চিন্তার কেন্দ্রবিন্দু হবে দুনিয়া আল্লাহ তাআলা দারিদ্রকে তার দুই চোখের সামনে লাগিয়ে রাখবেন, তার কাজগুলোকে এলোমেলো ও ছিন্নভিন্ন করে দিবেন এবং তার জন্য যা নির্দিষ্ট করে রেখেছেন (তাকদীরে রেখেছেন) দুনিয়াতে সে এর চেয়ে বেশি পাবে না।”[হাদীসটি তিরমিযী (২৩৮৯) বর্ণনা করেন এবং শাইখ আলবানী সহীহুল জামে (৬৫১০) গ্রন্থে সহিহ বলেছেন]

ইবনুল কাইয়িম রাহিমাহুল্লাহ বলেন:

‘যদি বান্দা সকালে বা সন্ধ্যায় এ অবস্থায় উপনীত হয় যে, তার একমাত্র ভাবনা এক আল্লাহ তখন আল্লাহ তার সমস্ত প্রয়োজনের ভার বহন করেন, তার সকল দুঃশ্চিন্তার ভার তিনি গ্রহণ করেন, তার হৃদয়কে খালি করে দেন যাতে তাঁর ভালোবাসায় সেটি পূর্ণ হয়, তার জিহ্বাকে তাঁর যিকিরে ব্যস্ত রাখেন, তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে তাঁর আনুগত্যে নিয়োজিত করেন। আর যদি বান্দা সকালে বা সন্ধ্যায় এ অবস্থায় উপনীত হয় যে, তার একমাত্র ভাবনা দুনিয়া তখন আল্লাহ তার উপর সমস্ত দুঃশ্চিন্তা ও দুর্ভাবনার ভার চাপিয়ে দিয়ে তাকে তার নিজের দিকে সমর্পণ করেন। সে আল্লাহকে ভালোবাসার বদলে মানুষকে ভালোবাসে, তার জিহ্বা আল্লাহকে স্মরণ করার বদলে মানুষের স্মরণে ব্যস্ত থাকে, তার অঙ্গপ্রত্যঙ্গ আল্লাহর আনুগত্যের বদলে মানুষের সেবায় ও চাকরিতে ব্যস্ত থাকে। অন্যের কাজ করতে গিয়ে সে বন্য পশুর মতো পরিশ্রম করতে থাকে ... এভাবে প্রত্যেক যে ব্যক্তি আল্লাহর ইবাদত, আনুগত্য ও ভালোবাসা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় সে সৃষ্টির দাসত্ব, ভালোবাসা ও আজ্ঞাবহ হওয়ার পরীক্ষায় পড়ে। আল্লাহ তায়ালা বলেন: “যে ব্যক্তি করুণাময় আল্লাহর স্মরণ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় আমি তার জন্য এক শয়তানকে নিয়োজিত করি, অতঃপর সে-ই হয় তার সহচর।”[সূরা যুখরুফ: ৩৬][আল-ফাওয়াইদ (পৃ. ১৫৯)]

শাইখ ইবনে উছাইমীন রাহিমাহুল্লাহকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল:

‘মুমিন কি মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়? শরীয়তে এর চিকিৎসা কী? আধুনিক চিকিৎসা তো এই রোগগুলোর জন্য কেবল আধুনিক ওষুধ ব্যবহার করে।’

তিনি উত্তর দেন: "কোন সন্দেহ নাই যে, মানুষ মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়: সেটি ভবিষ্যতকে নিয়ে দুঃশ্চিন্তা কিংবা অতীতের জন্য দুঃখ। মানসিক রোগ শারীরিক ব্যাধির চেয়েও শরীরের বেশি ক্ষতি করে। এই রোগগুলোর চিকিৎসা ঔষধের বদলে শরয়ী রুকইয়ার মাধ্যমে করা বেশি কার্যকরী যা সুবিদিত।

মানসিক ব্যাধির অন্যতম চিকিৎসা হলো: ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু কর্তৃক বর্ণিত সহীহ হাদীস: কোনো মুমিন দুঃশ্চিন্তা, উঠকণ্ঠা অথবা দুঃখ অনুভব করলে সে যদি বলে:

اَللّٰهُمَّ إِنِّىْ عَبْدُكَ وَابْنُ عَبْدِكَ وَابْنُ أَمَتِكَ وَفِىْ قَبْضَتِكَ نَاصِيَتِىْ بِيَدِكَ مَاضٍ فِىْ حُكْمُكَ عَدْلٌ فِىْ قَضَاؤُكَ أَسْأَلُكَ بِكُلِّ اسْمٍ هُوَ لَكَ سَمَّيْتَ بِه نَفْسَكَ أَوْ أَنْزَلْتَه فِىْ كِتَابِكَ أَوْ عَلَّمْتَه أَحَدًا مِنْ خَلْقِكَ أَوْ أَلْهَمْتَ عِبَادَكَ أَوِ اسْتَأْثَرْتَ بِه فِىْ مَكْنُوْنِ الْغَيْبِ عِنْدَكَ أَنْ تَجْعَلَ الْقُرْاٰنَ رَبِيعَ قَلْبِىْ وَجَلَاءَ هَمِّىْ وغَمِّىْ

“হে আল্লাহ! আমি আপনার বান্দা। আপনারই এক বান্দা ও বাঁদীর পুত্র। আমার কপাল (নিয়ন্ত্রণ) আপনার হাতে; আমার উপর আপনার নির্দেশ কার্যকর। আমার ব্যাপারে আপনার ফয়সালা ন্যায়পূর্ণ। আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করছি আপনার প্রতিটি নামের উসীলায়; যে নাম আপনি নিজের জন্য রেখেছেন অথবা আপনি আপনার কিতাবে নাযিল করেছেন অথবা আপনার সৃষ্টজীবের কাউকেও শিখিয়েছেন অথবা নিজ গায়েবী জ্ঞানে নিজের জন্য সংরক্ষণ করে রেখেছেন: আপনি কুরআনকে বানিয়ে দিন আমার হৃদয়ের প্রশান্তি, আমার বক্ষের জ্যোতি, আমার দুঃখের অপসারণকারী এবং দুঃশ্চিন্তা দূরকারী।

তাহলে আল্লাহ তার ঐ দুশ্চিন্তা দূর করে দেন।” এটি শরয়ি চিকিৎসার অন্তর্ভুক্ত।

এছাড়াও ব্যক্তি দোয়া করতে পারে:

لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِينَ

“আপনি ছাড়া কোনো সত্য ইলাহ নেই, আমি আপনার পবিত্রতা ঘোষণা করছি। নিশ্চয় আমি অন্যায়কারীদের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম।”

কেউ যদি এমন আরো দোয়া জানতে চায় সে যেন যিকির-আযকার বিষয়ে আলেমদের লেখা গ্রন্থগুলো পড়ে। যেমন: ইবনুল কাইয়িমের ‘আল-ওয়াবিলুস সাইয়্যিব’, শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়্যার ‘আল-কালিমুত তাইয়্যিব’, ইমাম নববীর ‘আল-আযকার’ এবং ইবনুল কাইয়্যিমের ‘যাদুল মা’আদ’।

কিন্তু ঈমান দুর্বল হয়ে পড়ায় মানুষদের অন্তরে শরয়ি ঔষধের কার্যকারিতাও দুর্বল হয়ে গেছে। এখন মানুষ শরয়ি ঔষধের বদলে বস্তুগত ঔষধের উপর বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। কিংবা যখন ঈমান শক্তিশালী ছিল তখন শরয়ি ঔষধ পরিপূর্ণ প্রভাব ফেলত। বরং বস্তুগত ঔষধের চেয়ে শরয়ি ঔষধের কার্যকারিতা দ্রুততর। আমরা সবাই ঐ লোকের ঘটনা জানি যাকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অভিযানে প্রেরণ করেছিলেন। তখন সে আরবের একটি গোত্রের কাছে যাত্রা বিরতি করেছিল। কিন্তু সেই গোত্রের লোকেরা তাদেরকে আতিথেয়তা করায়নি। আল্লাহর ইচ্ছায় ঐ সম্প্রদায়ের সর্দারকে সাপে দংশন করল। তখন তারা একে অপরকে বলল: যে লোকেরা এখানে তাঁবু ফেলেছে তাদের কাছে গিয়ে খুঁজে দেখো, তাদের মধ্যে ঝাড়ফুঁক করে এমন কেউ আছে কিনা। তখন সাহাবীরা তাদেরকে বলল: ‘আমরা আপনাদের সর্দারকে ঝাড়ফুঁক করতে হলে আপনারা আমাদেরকে এই এই পরিমাণ মেষ দিতে হবে ।’ তারা বলল: সমস্যা নেই। তখন সাহাবীদের একজন গিয়ে দংশিত ব্যক্তির উপর কেবল সূরা ফাতিহা পড়লেন। তখন দংশিত ব্যক্তি উঠে দাঁড়ালেন যেন তিনি বন্ধন থেকে মুক্ত হলেন।

এভাবে সূরা ফাতিহার তেলাওয়াত এই ব্যক্তির উপর প্রভাব ফেলেছিল। কারণ সেটি এমন ব্যক্তি পড়েছিলেন যার হৃদয় ছিল ঈমানে পরিপূর্ণ। তারা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে ফিরে আসার পর তিনি তাকে প্রশ্ন করেছিলেন: ‘তুমি কীভাবে জানলে যে, সূরা ফাতিহা দিয়ে ঝাড়ফুঁক করা যায়?’

কিন্তু আমাদের এ যুগে দ্বীনদারি ও ঈমান দুর্বল হয়ে পড়েছে। আজকাল মানুষ কেবল বাহ্যিক ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য বিষয়গুলোর উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে এবং বাস্তবে তারা এগুলোর দ্বারা পরীক্ষার শিকার।

আবার এদের বিপরীতে কিছু মানুষ আছে ভণ্ড ও প্রতারক। যারা মানুষের বুদ্ধি, সক্ষমতা ও কথাবার্তা নিয়ে খেলে। তারা দাবি করেছে যে তারা নেককার রাক্বী (ঝাড়ফুঁককারী)। কিন্তু তারা মূলতঃ অন্যায়ভাবে মানুষের সম্পদ আত্মসাৎকারী। এ ইস্যুতে মানুষ বিপরীত দুই মেরুতে অবস্থান করছে: কেউ কেউ এত বাড়াবাড়ি করে যে রুকইয়া বা ঝাড়ফুঁকের কোনো প্রভাব আছে বলে তারা মনে করে না। অন্য দিকে কেউ কেউ মিথ্যা ও প্রতারণাপূর্ণ রুকইয়ার মাধ্যমে মানুষের বিবেকবুদ্ধি নিয়ে খেলে। আর কিছু মানুষ আছে মধ্যমপন্থী।”[ফাতাওয়া ইসলামিয়্যা (৪/৪৬৫, ৪৬৬)]

আমরা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি, তিনি যেন আমাদেরকে এবং আপনাদেরকে দুশ্চিন্তার অনিষ্ট ও পঙ্কিলতা থেকে রক্ষা করেন এবং আমাদের অন্তরকে ঈমান, হেদায়াত ও প্রশান্তির জন্য খুলে দেন।

আল্লাহই সর্বজ্ঞ।

সূত্র

সূত্র

ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব

টেক্সট ফরম্যাটিং অপশন

at email

নিউজ লেটার পেতে সাবস্ক্রাইব করুন

নিয়মিত আপডেট ও ওয়েবসাইটের নিত্য নতুন তথ্য পেতে ইমেইল দিয়ে সাবস্ক্রাইব করুন

phone

ইসলাম প্রশ্ন এবং উত্তর অ্যাপ্লিকেশন

কন্টেন্টে আরও দ্রুত অনুসরণ করুন এবং ইন্টারনেট ছাড়া ব্রাউজ করার সুযোগ

download iosdownload android