সংরক্ষণ করুন
  • New List
আরও
    সংরক্ষণ করুন
    • New List
4,24127/রমজান/1441 , 20/মে/2020

ঈদ আসার আগে ঈদের শুভেচ্ছা জানানোর হুকুম কি?

প্রশ্ন: 192665

ঈদের এক দিন বা দুই দিন আগে ঈদের শুভেচ্ছা জানানোর হুকুম কি?

উত্তর

সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য। দুরুদ ও সালাম বর্ষিত হোক আল্লাহর

ঈদের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন বৈধ বিষয়াবলীর অন্তর্ভুক্ত। কোন কোন সাহাবী থেকে এটি বর্ণিত আছে।

ইবনে কুদামা (রহঃ) বলেন: “ইবনে আকীল ঈদের শুভেচ্ছার ব্যাপারে কিছু হাদিস উল্লেখ করেছেন। যেমন- মুহাম্মদ বিন যিয়াদ বলেন, আমি আবু উমামা আল-বাহেলি (রাঃ) ও নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অন্য কিছু সাহাবীর সাথে ছিলাম। তারা যখন ঈদ থেকে প্রত্যাবর্তন করতেন তখন একে অপরকে বলতেন: تَقَبَّلَ اللهُ مِنَّا وَمِنْكُمْ (আল্লাহ্‌ আমাদের পক্ষ থেকে ও আপনাদের পক্ষ থেকে কবুল করুন)। ইমাম আহমাদ বলেন: আবু উমামা (রাঃ)-এর হাদিসের সনদ জাইয়্যেদ (ভাল)।”[আল-মুগনী (২/১৩০)]

তাই সাহাবায়ে কেরামের আমল ও তাদের বর্ণনার প্রত্যক্ষ মর্ম হল: ঈদের শুভেচ্ছা ঈদের নামাযের পরে জ্ঞাপন করতে হয়। যদি ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাহাবীদের অনুসরণে এর মাঝে সীমাবদ্ধ থাকে তাহলে সেটাই ভাল। আর যদি কেউ তার বন্ধুকে সবার আগে শুভেচ্ছা জ্ঞাপনার্থে নামাযের আগেই শুভেচ্ছা জানায় তাতেও ইনশা আল্লাহ্‌ কোন অসুবিধা হবে না। যেহেতু ঈদের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন অভ্যাস শ্রেণীয় বিষয়। অভ্যাস শ্রেণীয় বিষয়াবলির ক্ষেত্রে প্রশস্ততা রয়েছে। মানুষের মাঝে প্রচলিত প্রথাই এ শ্রেণীয় বিষয়ের নীতি নির্ধারক।

আশ-শারওয়ানি আশ-শাফেয়ি (রহঃ) বলেন: গ্রন্থাকারের বক্তব্য “ঈদের দিন” থেকে গ্রহণ করা যায় যে, ঈদের দিনের পরে তাশরিকের দিনগুলোতে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন প্রত্যাশা করার নয়। কিন্তু মানুষের অভ্যাস হচ্ছে এ দিনগুলোতেও শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করা। এতে কোন আপত্তি নেই। কেননা এর দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে সম্প্রীতি বাড়ানো ও আনন্দ প্রকাশ করা। গ্রন্থাকারের বক্তব্য “ঈদের দিন” থেকে আরও গ্রহণ করা যায় যে, শুভেচ্ছা জ্ঞাপনের সময় ফজরের ওয়াক্ত প্রবেশের মাধ্যমে শুরু হয়; ঈদের রাত থেকে নয়— যেমনটি কোন কোন পার্শ্বটীকাতে উদ্ধৃত হয়েছে। এটাও বলা যেতে পারে যে, এতেও কোন আপত্তি নেই যদি এ ধরণের প্রথা জারী থাকে। যেহেতু পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে যে, শুভেচ্ছা জ্ঞাপনের উদ্দেশ্য হচ্ছে সম্প্রীতি ও আনন্দ প্রকাশ। ‘ঈদের রাতে তাকবীর দেয়া মুস্তাহাব’ হওয়ার মধ্যেও এ অভিমতের পক্ষে সমর্থন পাওয়া যায়।”।[আশ-শারওয়ানি রচিত ‘তুহফাতুল মুহতাজ’ এর হাশিয়া (২/৫৭) থেকে সমাপ্ত]

আল্লাহ্‌ই সর্বজ্ঞ।

সূত্র

সূত্র

ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব

টেক্সট ফরম্যাটিং অপশন

at email

নিউজ লেটার পেতে সাবস্ক্রাইব করুন

নিয়মিত আপডেট ও ওয়েবসাইটের নিত্য নতুন তথ্য পেতে ইমেইল দিয়ে সাবস্ক্রাইব করুন

phone

ইসলাম প্রশ্ন এবং উত্তর অ্যাপ্লিকেশন

কন্টেন্টে আরও দ্রুত অনুসরণ করুন এবং ইন্টারনেট ছাড়া ব্রাউজ করার সুযোগ

download iosdownload android