শুক্রবার 17 শাওয়াল 1445 - 26 এপ্রিল 2024
বাংলা

লটারির ড্রতে প্রবেশ করার হুকুম

প্রশ্ন

লটারির ড্রতে প্রবেশ করার হুকুম কি?

উত্তর

আলহামদু লিল্লাহ।.

লটারির ড্র জুয়া ও বাজির অপর এক নাম। এটি জুয়ার এমন এক রূপ যেটাকে “ভাগ্য” নামে অভিহিত করা হয়। এতে অংশগ্রহণকারী একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ উল্লেখযোগ্য কোন বিনিময় ছাড়া কিংবা প্রকৃতপক্ষে মূল্য আছে এমন কিছুর বিনিময় ছাড়া প্রদান করে। উদহারণতঃ পাঁচ ডলার প্রদান করে। অংশগ্রহণকারীকে বড় অংকের হতে পারে এক মিলিয়ন ডলারের ড্র প্রবেশ করার জন্য একটি নম্বর দেয়া হয়। পুরস্কার পেলে অংশগ্রহণকারী বড় ধরণের লাভবান হয়। আর পুরস্কার না পেলে ক্ষতিগ্রস্ত। এটাই হচ্ছে জুয়ার স্বরূপ।

পূর্বোক্ত আলোচনার ভিত্তিতে এ ধরণের ড্রতে অংশ গ্রহণ করা অকাট্যভাবে হারাম। এই হারাম পুরস্কার প্রাপ্তির জন্য অর্থ ব্যয় করা হারাম ও নিকৃষ্ট।

তাদের এই হারাম প্রজেক্টের বিজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে:

“আপনি জিজ্ঞেস করবেন এই কথা কি যুক্তিগ্রাহ্য কিংবা বাস্তব? আমরা আপনাকে বলব: অবশ্যই, যৌক্তিক ও বাস্তব। এটি একে অপরকে সহযোগিতা করার সৃজনশীল পদ্ধতি!! আমরা আমাদের পকেট থেকে আপনাকে কিছুই দিব না। বরং আপনারাই সবকিছু প্রদান করবেন। আপনাদের প্রত্যেকে টিকেট কেনার মাধ্যমে একে অপরকে সহযোগিতা করবেন। পরিশেষে যাতে করে পারস্পারিক সহযোগিতার এই সৃজনশীল ক্ষমতা অর্জিত হয়। যেন এই সহযোগিতা চলমান থাকে এবং একের পর এক আপনারা সকলেই তার স্বপ্ন বাস্তবায়নে সক্ষম হন।”[সমাপ্ত]

তারা আরও বলে:

“আপনি জিজ্ঞেস করবেন: আমি এক হাজার ডলার পেলাম। এরপর এক মিলিয়ন ডলার পেলাম! এতে করে আপনাদের কি লাভ? আপনারা কি এটি আল্লাহ্‌র ওয়াস্তে করেন?

আমরা জবাবে আপনাকে বলব: সহযোগিতার এই চিন্তাটি পুরনো, মানবেতিহাস যত পুরনো তত পুরনো। সকল ধর্মেই এর সমর্থন রয়েছে। তবে আমরাও এতে লাভবান হব; যদি সদস্য হওয়া অব্যাহত থাকে। আমরা আমাদের পরিশ্রম, অন্যান্য সেবা, প্রজেক্টটি তত্ত্বাবধান, বিজ্ঞাপন দেয়া এবং অন্যান্য বিষয়াবলী যেগুলোর ওপর প্রজেক্টের সফলতা ও চলমানতা নির্ভর করে সেগুলোর বিপরীতে প্রত্যেক সদস্য থেকে পাঁচ ডলার করে পাব। অর্থাৎ আমরাও লাভ পাব এবং আপনারাও লাভ পাবেন। অতএব আমাদের পক্ষ থেকে প্রজেক্টটিকে এগিয়ে নেয়া ও সফল করার সুনিশ্চিত চেষ্টা কেন করা হবে না? তাছাড়া এটি আমাদেরই চিন্তা। আমরা এর সফলতার জন্য সকল চেষ্টা ও প্রযুক্তিগত তত্ত্বাবধান নিয়োগ করব।”[সমাপ্ত]

এটি ধোঁকা ও প্রতারণা। এরা জুয়াকে সহযোগিতা হিসেবে উল্লেখ করে। প্রকৃতপক্ষে এটি হারাম জুয়া। এতে সহযোগিতার কিছু নেই। বরং এটি অন্যায়ভাবে মানুষের সম্পদ ভক্ষণ।[সমাপ্ত]

আল্লাহই সর্বজ্ঞ।

সূত্র: ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব