মঙ্গলবার 14 শাওয়াল 1445 - 23 এপ্রিল 2024
বাংলা

রোজাদারের জন্য গোসল করা বৈধ

প্রশ্ন

গোসল করলে কি রোজা ভেঙ্গে যাবে?

উত্তর

আলহামদু লিল্লাহ।.

রোযাদারের জন্য গোসল করা বৈধ। গোসল রোযার উপর কোন নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না।

ইবনে কুদামা ‘আল-মুগনি’ (৩/১৮) গ্রন্থে বলেন:

রোযাদারের জন্য গোসল করতে কোন অসুবিধা নেই। তিনি বুখারি (১৯২৬) ও মুসলিম (১১০৯) কর্তৃক সংকলিত এবং আয়েশা ও উম্মে সালামা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদিস দিয়ে দলিল দেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অপবিত্র থাকা অবস্থায় ফজর হয়ে যেত; এরপর তিনি গোসল করতেন ও রোযা রাখতেন।

আবু দাউদ জনৈক সাহাবি থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন: আমি দেখেছি যে, রোযা রেখে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পিপাসার কারণে অথবা গরমের কারণে মাথায় পানি ঢালছেন।[আলবানি সহিহ আবু দাউদ গ্রন্থে হাদিসটিকে সহিহ আখ্যায়িত করেছেন]

‘আউনুল মাবুদ’ গ্রন্থে বলা হয়:

এতে দলিল পাওয়া যায় যে, রোযাদারের জন্য গায়ের কিছু অংশে অথবা সারা শরীরে পানি ঢেলে গরম দূর করা জায়েয আছে। জমহুর আলেম এ মতই পোষণ করেন। এক্ষেত্রে তাঁরা ফরজ গোসল, মুস্তাহাব গোসল বা জায়েয গোসলের মধ্যে পার্থক্য করেন না। সমাপ্ত

ইমাম বুখারি বলেন:

রোযাদারের গোসল করা শীর্ষক পরিচ্ছেদ। ইবনে উমর রোযা থাকা অবস্থায় কাপড় ভিজিয়ে সেটা গায়ে দিয়েছেন। ইমাম শাবী রোযা রেখে হাম্মামখানা বা গোসলখানাতে প্রবেশ করেছেন... হাসান বলেন: গড়গড়া কুলি করা ও ঠাণ্ডার জন্য গোসল করা রোযাদারের জন্য জায়েয।

হাফেয ইবনে হাজার বলেন:

তাঁর বাণী: “রোযাদারের গোসল করা শীর্ষক পরিচ্ছেদ” অর্থাৎ গোসল করা জায়েয শীর্ষক পরিচ্ছেদ। আল-যাইন ইবনুল মুনায়্যির বলেন: ইমাম বুখারি বিশেষ কোন গোসলের কথা উল্লেখ না করে সাধারণভাবে গোসলের কথা বলেছেন; যাতে করে এর মধ্যে- সুন্নত গোসল, ফরজ গোসল ও জায়েয গোসল অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। এর মাধ্যমে তিনি যেন, সেদিকে ইঙ্গিত করতে চাচ্ছেন যা রোযাদারের গোসলখানায় প্রবেশ করার নিষিদ্ধতার ব্যাপারে আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে। সে বর্ণনাটি আব্দুর রাজ্জাক সংকলন করেছেন; বর্ণনাটির সনদে দুর্বলতা রয়েছে। সমাপ্ত

আল্লাহই ভাল জানেন।

সূত্র: ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব