Islam QA ওয়েবসাইটের জন্য দান করুন

আমরা আশা করছি, আপনাদের ওয়েবসাইট Islam Q&A (ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব) কে সাপোর্ট দেয়ার জন্য মুক্তহস্তে দান করবেন; যাতে করে ইনশা আল্লাহ্‌ ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর সেবায় আপনাদের ওয়েবসাইট তার পথ চলা অব্যাহত রাখতে পারে।

ঝাড়ফুঁকের ফযিলত ও ঝাড়ফুঁক করার দোয়াসমূহ

04-01-2020

প্রশ্ন 3476

কোন ব্যক্তি নিজে নিজেকে ঝা ড়ফুঁক করার ফযিলত কী? এ সংক্রান্ত দলিলগুলো কি কি? নিজে নিজেকে ঝাড়ফুঁক করার সময় কী বলবে?

উত্তর

আলহামদু লিল্লাহ।.

১। কোন ব্যক্তি নিজে নিজেকে ঝাড়ফুঁক করতে কোন বাধা নেই। যেহেতু সেটা করা তার জন্য মুবাহ (বৈধ); বরং উত্তম সুন্নত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজে নিজেকে ঝাড়ফুঁক করেছেন এবং তিনি তাঁর কোন কোন সাহাবীকেও ঝাড়ফুঁক করেছেন।

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ্‌সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন কোন অসুস্থতা অনুভব করতেন তখন তিনি নিজের উপর মুআওয়িযাত (আশ্রয়ণীয় সূরাগুলো) পড়ে ফুঁ দিতেন। যখন তাঁর ব্যথা তীব্র হল তখন আমি পড়ে তাঁকে ফু দিতাম এবং তাঁর হাত দিয়ে মাসেহ করতাম; তাঁর হাতের বরকতের আশায়।[সহিহ বুখারী (৪৭২৮) ও সহিহ মুসলিম (২১৯২)]

পক্ষান্তরে, সহিহ মুসলিম (২২০)-এ উদ্ধৃত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে এই উম্মতের সত্তর হাজার লোক যারা বিনা-হিসাবে ও বিনা-শাস্তিতে জান্নাতে প্রবেশ করবে তাদের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বলেন: "তারা ঝাড়ফুঁক করে না, ঝাড়ফুঁকের জন্য অন্যের দ্বারস্থ হয় না, কুলক্ষণে বিশ্বাস করে না; বরং তারা তাদের রব্বের উপর তাওয়াক্কুল করে"।

"তারা ঝাড়ফুঁক করে না": এ কথাটি বর্ণনাকারীর প্রমাদ; নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এমন কথা বলেননি। তাই ইমাম বুখারী (৫৪২০) এ হাদিসটি বর্ণনা করেছেন; কিন্তু এ অংশটি উল্লেখ করেননি।

শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া (রহঃ) বলেন:

"তিনি এ লোকদের এ জন্য প্রশংসা করেছেন যে, "ঝাড়ফুঁকের জন্য অন্যের দ্বারস্থ হয় না" অর্থাৎ অন্যকে বলে না যে, আমাকে ঝাড়ফুঁক করুন। ঝাড়ফুঁক দোয়া শ্রেণীর আমল। তাই তারা কারো কাছে এটি তলব করে না। এ হাদিসে "তারা ঝাড়ফুঁক করে না" এমন কথাও বর্ণিত আছে। কিন্তু সেটা ভুল। যেহেতু নিজেরা নিজেদেরকে ঝাড়ফুঁক করা কিংবা অন্যদেরকে ঝাড়ফুঁক করে দেওয়া নেক আমল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজে নিজেকে ঝাড়ফুঁক করতেন এবং অন্যকেও ঝাড়ফুঁক করতেন; কিন্তু তিনি ঝাড়ফুঁক করার জন্য কাউকে অনুরোধ করতেন না। নিজে নিজেকে ঝাড়ফুঁক করা ও অন্যকে ঝাড়ফুঁক করা নিজের জন্য ও অন্যের জন্য দোয়া করার অন্তর্ভুক্ত। তাই এটি আদিষ্ট বিষয়। কেননা সকল নবী আল্লাহ্‌র কাছে দোয়া করেছেন, তাঁকে ডেকেছেন; যেমনটি আল্লাহ্‌তাআলা আদম (আঃ), ইব্রাহিম (আঃ), মুসা (আঃ) ও অন্যান্য নবীদের ঘটনায় উল্লেখ করেছেন।"[মাজমুউল ফাতাওয়া (১/১৮২)]

ইবনুল কাইয়্যেম (রহঃ) বলেন:

"এ কথাটি হাদিসের মধ্যে অনুপ্রবিষ্ট। এটি কোন এক বর্ণনাকারীর ভুল।"[হাদিল আরওয়াহ (১/৮৯)]

ঝাড়ফুঁক এমন মহৌষধ একজন মুমিনের যা নিয়মিত গ্রহণ করা বাঞ্ছনীয়।

২। একজন মুসলিম নিজেকে ও অন্যকে ঝাড়ফুঁক করার সময় শরিয়ত অনুমোদিত যে দোয়াগুলো পড়তে পারেন সেগুলো অনেক। সে দোয়াগুলোর মধ্যে সর্বোত্তম দোয়া ও আশ্রয়ণীয় হচ্ছে— সূরা ফাতিহা।

হাদিসে উক্ত النفث (ফুঁক) মানে থুথু ছাড়া কোমলভাবে ফুঁ দেওয়া। কারো কারো মতে, হালকা থুথুসহ ফুঁ দেওয়া।[এটি সহিহ মুসলিমের (হাদিস নং২১৯২) ব্যাখ্যায় ইমাম নববীর বক্তব্য]

হাদিসে উদ্ধৃত ঝাড়ফুঁক করার দোয়াগুলোর মধ্যে রয়েছে:

আল্লাহ্‌ই সর্বজ্ঞ।

ঝাড়ফুঁক
ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব ওয়েবসাইটে দেখান